শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০১ পূর্বাহ্ন
মোঃহাফিজুল ইসলাম শান্ত: পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপকূলীয় এলাকায় পর্যাপ্ত অর্থ ও ভূমি অধিগ্রহণ এর অভাবে জরাজীর্ণ স্লুইসগেট ও বেড়িবাঁধ সংস্কার বা পূর্ণ-নির্মাণ করতে পারছেনা কালাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড এর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। জলবায়ু বিরুপ প্রতিক্রিয়া লবণক্ততা, সামুদ্রিক ঘূর্ণীঝড়, সিডর, আয়লা, মহোসেন এর মতো প্রকৃতি জলোচ্ছ্বাস নানাবিধ জনজীবনের সমস্যা উত্তরণে বা মোকাবেলায় সরকার বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থ বরাদ্দ না থাকায় মারাত্মক হুমকির মধ্যে রয়েছে উপকুলীয় মানুষ।
এক অনুুসন্ধানে জানা যায়, প্রায় দের যুগেরও পূর্বে সামুদ্রিক ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড এর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবন রক্ষার জন্য সরকার এবং বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় বেড়িবাঁধ ও উন্নতমানের রেগুলেটার স্লুইসগেট বসানো হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে সংশ্লিষ্ট বিভাগের অর্থ ববরাদ্দ না দেয়ায় ঝুকিঁপূর্ণ বেড়িবাঁধ ও রেগুলেটর স্লুইসগেট গুলো স্লুইসগেট অকার্যকর হয়ে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। পাশাপাশি দেশের সরকারি কোটি কোটি টাকার সম্পদ সহ প্রান্তিক কৃষক জনগোষ্ঠীর কৃষিকাজে পানি না পেয়ে প্রতিনিয়ত দুশ্চিন্তায় দিন রাত পার করছে প্রায় দশ হাজার কৃষক জনগোষ্ঠী।
যা বর্তমানে দেশের জাতীয় কৃষি খাতের অর্থনীতিতে ব্যাপক দূর্যোগ দেখা দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিভিন্ন অভিজ্ঞ মহল মনে করেন। স্থানীয়দের দাবী সরকার ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডে অর্থ বরাদ্দ দিয়ে উপকূলীয় জনসাধারণের জীবন ও কৃষিসম্পদ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে বলে মনে করেন। এবিষয়ে কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলার বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এর প্রকৌশলী মোঃ আরিফ হোসেন গনকন্ঠ কে মুঠোফোনে জানান, রাঙ্গাবালী উপজেলার উপকূলীয় এলাকায় ৭’টি পোল্ডারের মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলোচ্ছ্বাস থেকে মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) প্রায় ১৮৯ কিলোমিটার বেড়িবাধঁ নির্মাণ করে। রাঙ্গাবালী উপজেলায় ৭’টি পোল্ডারের অধিক ঝুকিঁপূর্ণ স্থানে বাধেঁর জরুরী মেরামত কাজ চলেমান রয়েছে।
এর মধ্যে পোল্ডার নং ৪৯, চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নে ৬ কিলোমিটার ভেরীবাঁধ এর রিপিয়ারিং কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া চালতাবুনিয়া, লতারচর এলাকার অধিক ঝুকিঁপূর্ণ স্থান আমাদের পর্যবেক্ষনে রয়েছে। তবে চরমোন্তাজ ইউনিয়নের বউ বাজার এলাকায় ভাংঙ্গন বেশি হওয়ায় জরুরী ভিত্তিতে প্রায় ২’শত ৭০ মিটার বেড়িবাঁধ পুনোরায় রিপিয়ারিং করা হয়েছে।
এছাড়াও চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরবেষ্টিন নামক এলাকায় আরো (১) কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণের অনুমোদন পেয়েছি। তবে বর্ষার কারণে রিপিয়ারিং কাজ শুরু করা যাচ্ছেনা। ওপর দিকে রাঙ্গাবালী উপজেলায় প্রায় ৯০ টি রেগুলেটার স্লুইসগেট রয়েছে, এর মধ্যে প্রায় ৩৮’টি রেগুলেটর স্লুইসগেট অকার্যকর অবস্থায় আছে। সরকারের পক্ষ থেকে চলতি অর্থবছরে পর্যাপ্ত বাজেট না থাকায় অকার্যকর স্লুইসগেট গুলো পূর্ণনির্মাণ সংস্কার করা যাচ্ছেনা।
তবে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুকিঁপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে জরুরী ভিত্তিতে বড়বাইশদিয়া ও মৌডুবী ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত পোল্ডার নং ৫০/৫১ CEIP Phase -2 প্রকল্পে দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী বাংলাদেশ কলসালন্টেন্ড এবং বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধিরা পর্যবেক্ষণ করছেন।
আশা করছি শীঘ্র’ই প্রজেক্ট অনুমোদন এবং প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পেলে অকার্যকর রেগুলেটর স্লুইসগেট এবং ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাধঁ গুলো পূর্ণনির্মাণ করার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।